ঢাকা, ০৫ আগষ্ট ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): ভারত থেকে ডেঙ্গু দমনে আনা নতুন ওষুধ প্রাথমিক পরীক্ষার পর অনুমোদন দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাথমিক পরীক্ষায় এসব ওষুধে ৮০ শতাংশ মশা ‘নক ডাউন’ বা অজ্ঞান হয়েছে। তবে ল্যাব ও প্ল্যান্ট প্রটেকশন টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই ব্যবহার করা যাবে এই ওষুধ। চূড়ান্তভাবে এই ওষুধ ব্যবহারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও দুটি ধাপের।
ভারতের ‘ট্যাগ্রস’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব ওষুধ পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বারান্দায় তিন ধরনের ওষুধের তিনটি করে নমুনা নিয়ে মোট নয়টি মশারির বক্সে পরীক্ষা করা হয়।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। ওষুধে কার্যকারিতা দেখতে উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মিনুতি সাহা এবং কৃষি অধিদপ্তরের প্ল্যান্ট প্রটেকশন উইংয়ের যুগ্ম পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম।
পরীক্ষা শেষে জানানো হয়, ডেলটামেথ্রিন ১.২৫% ইউএলভি ওষুধে তিনটি খাচায় অজ্ঞান হয়েছে যথাক্রমে ৮৪, ৯২ এবং ৮২ শতাংশ মশা।
দ্বিতীয় ওষুধ মেলাথিয়ন ৫% আরএফভি এর তিনটি নমুনায় অজ্ঞান হওয়া মশার পরিমাণ যথাক্রমে ৯২, ১০০ এবং ১০০ শতাংশ।
আর টেট্রামিথইন এর তিনটি নমুনায় অজ্ঞান হয়েছে ৯০, ১০০ এবং ৮৪ শতাংশ মশা।
ডিএসসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, ‘মশার ওষুধ আমরা তিনভাবে পরীক্ষা করি- ফিল্ড টেস্ট মানে আজ যা হলো, এরপর ল্যাব টেস্ট এবং সর্বশেষ প্ল্যান্ট প্রটেকশন টেস্ট। আজকের পরীক্ষায় প্রতিটি নমুনাতেই ‘নক ডাউন’ হওয়া মশার শতকরা পরিমাণ ৮০ ভাগের উপরে। অর্থ্যাৎ প্রাথমিকভাবে পাস।’
কর্মকর্তা বলেন, ‘এই নমুনাগুলো ২৪ ঘণ্টা পর আবার দেখা হবে যে, কতগুলো মারা গেল। তাতে ফিল্ড টেস্টের সম্পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যাবে।’
নুরুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মশক নিবারণ অধিদপ্তর থেকে এই মশাগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি। তারা কেরানীগঞ্জ থেকে লার্ভা সংগ্রহ করে সেখান থেকে মশার প্রজনন করেছি।’
যেসব মশার উপর ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এর মধ্যে এডিস মশা রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি পরীক্ষাকারী এই কর্মকর্তা। বলেন, ‘মিক্সড প্রজাতির মশা আছে এখানে।’
তবে পরীক্ষায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন দুই বিশেষ ড. মিনতি সাহা এবং ড. আমিনুল ইসলাম।
Leave a Reply